BUZZ Shutdown Timer v2.0.1

 

 BUZZ Shutdown Timer মাত্র 236KB এর খুবই ছোট্ট একটি টাইমার সফটয়্যার যার সাহায্যে আপনি আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের শাট-ডাউনের টাইম সেট করে দিতে পারবেন। এবং সেই নির্দিষ্ট পরিমান সময় পর আপনার কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

 ২০১২ এ পাবলিশ হওয়া Auto Shutdown Manager এর পরের রিলিজ এটি, যার ভার্সন 2.0.1। আশা করি আপনাদের এই ছোট্ট সফটয়্যারটি ভালো লাগবে।




অনেক সময় রাতে পিসি তে বড় কোনো কাজ দিয়ে বসে থাকতে হয়। কাজ শেষ হলে পিসি বন্ধ করতে হবে, সেই চিন্তায় ঘুমাতেও পারেন না। এমন সমস্যা যাদের হয়, তাদের জন্য আমার এই সফটওয়্যার টা খুব উপকারী হবে। 

সফটয়্যারটির এই ভার্সনটি তৈরী করা হয়েছে VB.Net Language এ এবং এটি সম্পূর্ণরুপে Open Source। তাই আশা করি সবাই একবার ট্রাই করে দেখবেন।
এবং সফটয়্যারটি ভালো লাগলে কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করবেন।

নিচে ডাউনলোড লিংক দেয়া হলঃ সাইজ = 236KB


এক নজরে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সকল প্রোগ্রামিং ভাষাসমূহ



এক নজরে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সকল প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো দেখে নেয়া যাক। আমি কোনো বড় প্রোগ্রামার না, শেখার চেষ্টা করছি মাত্র। তাই কোনো ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।

তো, শুরু করা যাক।

কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা আমাদের মুখের ভাষা বুঝে না। সে শুধু বুঝে ০ এবং ১। তাই তাকে এই ০ এবং ১ দিয়েই বুঝাতে হয় কি করতে হবে। পরবর্তিতে এই কাজকে আরও সহজ করতে আবিষ্কার হয় প্রোগ্রামিং ভাষা। যা অনেকটা আমাদের মুখের ভাষার মতই। এবং একটা অনুবাদক যন্ত্রের সাহায্যে তা ০ এবং ১ এ অনুবাদ করে কম্পিউটারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রোগ্রামিং ভাষার সংখ্যা অনেক। তবে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু ভাষার বর্ননা নিম্নে দেয়া হলঃ 

 

১. যান্ত্রিক ভাষাঃ (Machine Language):

যান্ত্রিক ভাষা বা মেশিন ভাষা হচ্ছে এক ধরনের নিম্ন-স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা যা কোন কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রোসেসিং ইউনিট বা CPU সরাসরি বুঝতে পারে। যান্ত্রিক ভাষা দ্বিমিক বা বাইনারি কোডে লেখা হয়, অর্থাৎ ০ ও ১-এর সমন্বয়ে যান্ত্রিক ভাষার বিভিন্ন নির্দেশগুলি লেখা হয়। এই নির্দেশগুলি কী হবে তা CPU-এর প্রস্তুতকারক কোম্পানি ও মডেলের উপর নির্ভর করে, যেমন- এএমডি প্রসেসরের জন্য যান্ত্রিক ভাষা ইন্টেল প্রসেসরের যান্ত্রিক ভাষার চেয়ে আলাদা। যান্ত্রিক ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা অত্যন্ত দুরূহ। প্রোগ্রামারকে প্রতিটি বিটের হিসাব রাখতে হয়। কেবল ০ ও ১-এ লেখা বলে প্রোগ্রামের ভুলত্রুটি ধরতেও অসুবিধা হয়।

 

২. অ্যাসেম্বলি ভাষাঃ (Assembly Language):

অ্যাসেম্বলি ভাষাকে সাংকেতিক (Symbolic) ভাষাও বলা হয়। মার্কিন গণিতবিদ গ্রেস মারি হপার ১৯৫২ সালে যান্ত্রিক ভাষার সমস্যাগুলি দূর করার লক্ষ্যে অ্যাসেম্বলি ভাষা উদ্ভাবন করেন। অ্যাসেম্বলি ভাষা থেকে যান্ত্রিক ভাষায় অনুবাদের জন্য বিশেষ ধরনের অনুবাদক প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়, যাদের নাম দেয়া হয়েছে অ্যাসেম্বলার। দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে এই ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। অ্যাসেম্বলি ভাষার ক্ষেত্রে নির্দেশ ও ডেটার অ্যাড্রেস বাইনারি বা হেক্সা সংখ্যার সাহায্য না দিয়ে সংকেতের সাহায্যে দেওয়া হয়। এই সংকেতকে বলে সাংকেতিক কোড (Symbolic Code) বা নেমোনিক (Nemonic)। এটি অনেকটা সহজবোধ্য। যেমনঃ ‘যোগ’ বা Addition করাকে লেখা হয় ADD ‘বিয়োগ’ বা Subtraction করাকে লেখা হয় SUB ‘গুণ’ বা Multiply কে লেখা হয় MUL ‘ভাগ’ বা Division কে লেখা হয় DIV ইত্যাদি।

 

৩. সিঃ (C):

সি একটি হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা। সি নির্মাণ করেন ডেনিস রিচি, বেল ল্যাবে ৭০এর দশকে কাজ করার সময়। ভাষাটি তৈরির প্রথম উদ্দেশ্য ছিল ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম-এর কোড লেখায় এর ব্যবহার, কিন্তু অচিরেই এটি একটি বহুল ব্যবহৃত ভাষায় পরিণত হয়। সি++ ও জাভা সহ পরিবর্তীকালের অনেক প্রোগ্রামিং ভাষার উপর সি'র গভীর প্রভাব পড়েছে। সি এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর বহনযোগ্যতা। সি দিয়ে রচিত প্রোগ্রাম যেকোন অপাররেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে চালানো যায়। ৭০ এবং ৮০ দশকের দিকে সি এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর অনেকগুলো ভার্সন তৈরি হয়। ১৯৮৩ সালে আমেরিকান মাননিয়ন্ত্রক সংস্থা (American National Standards Institute) সি এর ১টি আদর্শ ভার্সন তৈরির জন্য কমিটি গঠন করে। দীর্ঘ ৬ বছর পরে ১৯৮৯ সালে সেই আদর্শ সি ভাষাটি তৈরি হয়, যা American National Standards Institute C বা আনসি সি (ANSI C) নামে পরিচিত। পরবর্তিতে American National Standards Institute ১৯৯০ সালে সি এর এই আদর্শ ভার্সনটি গ্রহণ করে, যা সি৯০ নামে পরিচিত। মুলত "সি৮৯" এবং "সি৯০" একই ভাষা। যুগের প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক মাননিয়ন্ত্রক সংস্থা ১৯৯৫ সালে এই সংস্করণকে বর্ধিত করে এবং পরবর্তিতে ১৯৯৯ সালে সম্পূর্ণ নতুন একটি সংস্করণ প্রকাশ করে যা সি৯৯ নামে পরিচিত। সর্বশেষ ২০১১ সালে সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের নবীনতম সংস্করণ সি১১ প্রকাশিত হয়।

 

৪. সি++ (C++):

সি++ একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা।  ১৯৮০ সালে বিয়ার্নে স্ট্রাউসট্রপ (Bjarne Stroustrup) যুক্তরাষ্ট্রের এটিএন্ডটি বেল ল্যাবরেটরিতে (AT&T Bell Laboratory) এটি ডেভেলপ করেন। মূলত সিমুলা৬৭ এবং সি প্রোগ্রামিং ভাষার সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয় সাধন করে C++ তৈরি হয়। এটি একটি মধ্যম শ্রেণীর প্রোগ্রামিং ভাষা যাতে উচ্চ শ্রেণী এবং নিম্ন শ্রেণীর ভাষাগুলোর সুবিধা সংযুক্ত আছে। এটি সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা এবং সফটওয়্যার শিল্পে এটি বহুল ব্যবহৃত হয়। যেমন- সিস্টেম সফটয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, ডিভাইস ড্রাইভার, এম্বেডেড সফটওয়্যার, উচ্চ মানের সার্ভার ও ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন, বিনোদন সফটওয়্যার যেমন- ভিডিও গেইম ইত্যাদি ক্ষেত্রে C++ ব্যাবহৃত হচ্ছে। C++ এর বিভিন্ন মুক্ত এবং মালিকানাধিন কম্পাইলার আছে যা বিভিন্ন দল যেমন- জিএনইউ প্রকল্প, মাইক্রোসফট, ইন্টেল এবং বোরল্যান্ড সরবরাহ করে। C++ পরবর্তি সময়ে বিভিন্ন ভাষাকে প্রভাবিত করেছে যার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হল জাভা।

 

৫. ভিজুয়াল বেসিকঃ (Visual Basic):

ভিজুয়াল বেসিক (সংক্ষেপে ভিবি বা VB) একটি চতুর্থ প্রজন্মের ঘটনা চালিত (event-driven) প্রোগ্রামিং ভাষা এবং মাইক্রোসফটের "কম" বা কম্পোনেন্ট অবজেক্ট মডেল (COM -Component Object Model) এর আইডিই (IDE – Integrated Development Environment)। মাইক্রোসফট এই ভাষাকে পুরাতন বেসিক ভাষার (১৯৬৫) উন্নত সংস্করণ হিসেবে ১৯৯১ সালে প্রথম বাজারে আনে এবং ২০০৮ সালে শেখার জন্য উন্মুক্ত করে।এটি হল বেসিক (BASIC - "Beginner’s All Purpose Symbolic Instruction Codes"),কম্পিউটারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষার একটি শাখা বা সংস্করণ। দৃশ্যমান বা গ্রাফিকাল বৈশিষ্ট্য এবং বেসিক ভাষার উত্তরাধিকার ভিবিকে তুলনামূলকভাবে সহজ়ে আয়ত্ত এবং ব্যবহার করার সুবিধা প্রদান করেছে। ভিজুয়াল বেসিকের শেষ প্রকাশনা ছিল ১৯৯৮ সালের সংস্করণ ৬ (version 6)। এটির জন্য মাইক্রোসফটের বর্ধিত সহযোগিতা ২০০৮ এর মার্চ মাসে শেষ হয়েছে। বর্তমানে এই ভাষাটি ভিজুয়াল বেসিক ডট নেট দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

ভিজুয়াল বেসিকের আগমন বেসিক ভাষা (১৯৬৫) থেকে। ভিবি জিইউআই - গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI-graphical user interface) বা ব্যবহারকারীর জন্য দৃশ্যমান ব্যবহার ব্যবস্থার র‌্যাপিড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট বা র‌্যাড (RAD -rapid application development) অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। এছাড়াও ডেটা অ্যাকসেস অবজেক্ট, রিমোট ডেটা অবজেক্ট ইত্যাদির মাধ্যমে ডেটাবেজে কাজ করার এবং অ্যাকটিভএক্স (ActiveX) নিয়ন্ত্রক ও ডিজিটাল বস্তু (অবজেক্ট) তৈরি করার সুবিধা দিয়েছে। ভিবিএ (VBA), VBScript ইত্যাদি Scripting ভাষা সিন্ট্যাক্সের দিক থেকে ভিজুয়াল বেসিকের মতই, কিন্তু কাজ করে ভিন্ন ভাবে।

একজন প্রোগ্রামার ভিজুয়াল বেসিকের সাথেই দিয়ে দেয়া কম্পোনেন্টের দ্বারা একটি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম দাঁড় করাতে পারবেন। ভিজুয়াল বেসিকে লেখা প্রোগ্রাম সরাসরি উইন্ডোজ এপিআই ব্যবহার করতে পারে কিন্তু সেক্ষেত্রে "এক্সটার্নাল ফাংশন" বিবৃত করা প্রয়োজন।

চূড়ান্ত প্রকাশ ১৯৯৮ সালে, সংস্করণ ছিল ৬। এপ্রিল ৮, ২০০৮ থেকে মাইক্রোসফট ভিসুয়াল বেসিক ৬.০ এর আইডিই সমর্থন ছেড়ে দিলো। মাইক্রোসফট ভিসুয়াল বেসিক দল এখনও উপর ভিসুয়াল বেসিক 6.0 অ্যাপ্লিকেশনের জন্য উপযুক্ততা বজায় রাখে উইন্ডোজ ভিস্তা , উইন্ডোজ সার্ভার 2008 R2, সহ উইন্ডোজ 7 , উইন্ডোজ 8 , উইন্ডোজ 8.1 , উইন্ডোজ সার্ভার 2012 এবং উইন্ডোজ 10-এ।২০১৪ সাল পর্যন্ত এখনও ভিসুয়াল বেসিক .নেটের থেকেও ভিসুয়াল বেসিক 6.0 পছন্দ করে এমন ডেভেলপারদের সংখ্যা হাজার হাজার ছিল। কিছু ডেভেলপাররা ভিসুয়াল বেসিক 6.0 এর একটি নতুন সংস্করণ জন্য আহবান করে ২০১৪ সালে।

 

৬. জাভাঃ (Java):

জাভা একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। সান মাইক্রোসিস্টেম ৯০এর দশকের গোড়ার দিকে জাভা ডিজাইন করার পরে এটি অতি দ্রুত বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষার একটিতে পরিণত হয়। জাভা'র এই জনপ্রিয়তার মুল কারণ এর বহনযোগ্যতা (Portability), নিরাপত্তা, এবং অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ও ওয়েব প্রোগ্রামিং এর প্রতি পরিপূর্ণ সাপোর্ট।

জাভা'র পূর্বতন প্রোগ্রামিং ভাষাগুলিতে সাধারণত এক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য লেখা প্রোগ্রাম অন্য অপারেটিং সিস্টেম এ চালানো যেত না। জাভায় লেখা প্রোগ্রাম যেকোন অপারেটিং সিস্টেমে চালানো যায় শুধু যদি সেই অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি জাভা রানটাইম এনভায়রনমেন্ট(জাভা ভার্চুয়াল মেশিন) থেকে থাকে। এই সুবিধা জাভাকে এক অনন্য প্লাটফর্মে পরিণত করে। বিশেষ করে ইন্টারনেটে, যেখানে অসংখ্য কম্পিউটার যুক্ত থাকে এবং কম্পিউটারগুলো বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে সেখানে জাভায় লেখা অ্যাপলেট গুলো সকল কম্পিউটারে চলতে পারে এবং এর জন্য কোন বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয় না।

অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং জাভা'র খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং এর কারণে জাভায় অতিদীর্ঘ প্রোগ্রাম লেখা এবং ত্রুটিমুক্ত করা অনেক সহজ হয়েছে।

 

৭. ওরাকলঃ (Oracle):

ওরাকল ডেটাবেজ সাধারনত Oracle RDBMS বা Oracle নামে পরিচিত। এটি একটি রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা Oracle বাজারজাত করে। ১৯৭৭ সালে Software Development Laboratories (SDL), Oracle Software উন্নয়ন করেন।

 

৮.অ্যালগলঃ (Algol):

অ্যালগল (ALGOL) এর পূর্ণরুপ Algorithm Language। ১৯৫৮ সালে সর্বজনীন ভাষা হিসেবে সব কম্পিউটারে ব্যাবহারযোগ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশলিক সমস্যা সমাধানের জন্য এ ভাষার উদ্ভাবন হয়।

 

৯. ফোরট্রানঃ (Fortran):

ফোরট্রান আদিতম উচ্চস্তরের নির্দেশমূলক প্রোগ্রামিং ভাষা। জন বাকাস ও অন্যান্যেরা আইবিএম-এ কর্মরত অবস্থায় ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি এটি তৈরি করেন। ফোরট্রানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণগুলি হচ্ছে ফোরট্রান I, ফোরট্রান II, ফোরট্রান IV, ফোরট্রান ৭৭, এবং ফোরট্রান ৯০। এদের মধ্যে শেষের দুইটির বিবরণ ANSI মান আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ফোরট্রান ৭৭-ই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। তবে ফোরট্রান ৯০-এ ভাষাটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে; এতে পুনরাবৃত্তি, পয়েন্টার, নতুন নিয়ন্ত্রণ সংগঠন, এবং অনেক নতুন অ্যারে অপারেশন যোগ করা হয়েছে।

ফোরট্রান দিয়ে অসংখ্য গাণিতিকি হিসাব সহজেই করা যায়। শিক্ষা, ব্যাংকিং, ব্যাবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় হিসাব ও পরিকল্পনা করার জন্যে প্রয়োজনীয় হিসাব করা যাবে এটি দিয়ে। এছাড়া ভিডিও গেম প্রোগ্রামিং, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও সামরিক খাতে ও গবেষণার কাজেও ফোরট্রান ব্যাবহৃত হয়েছে। ফোরট্রান দিয়ে ইন্জিনিয়ারিং হিসাব-নিকাশও করা যায়।

ফোরট্রান ৯৫ সংস্করণে রয়েছে ৮৬ টি অক্ষর। ০৩ ভার্সনে মোট অক্ষর ৯৭ টি। ফোরট্রান কেইস-সেন্সেটিভ নয়। তারমানে আপারকেইস ও লোয়ারকেইস বর্ণে (ইংরেজি বড় ও ছোট হাতের) কোন পার্থক্য নেই।

 

১০. পাইথনঃ (Python):

পাইথন (Python) একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯১ সালে গুইডো ভ্যান রস্যিউম এটি প্রথম প্রকাশ করেন। পাইথন নির্মাণ করার সময় প্রোগ্রামের পঠনযোগ্যতার উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এখানে প্রোগ্রামারের পরিশ্রমকে কম্পিউটারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পাইথনের কোর সিনট্যাক্স ও সেমান্টিক্‌স খুবই সংক্ষিপ্ত, তবে ভাষাটির স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরি অনেক সমৃদ্ধ। পাইথন ভাষার মুক্ত, কমিউনিটি-ভিত্তিক উন্নয়ন মডেল রয়েছে, যার দায়িত্বে আছে পাইথন সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই ভাষাটির বিভিন্ন অংশের বিধিবদ্ধ বৈশিষ্ট্য ও আদর্শ থাকলেও পুরো ভাষাটিকে এখনো সম্পূর্ণ বিধিবদ্ধ করা হয়নি।

১৯৯৪ সালের জানুয়ারি পাইথন ১.০ সংস্করনে প্রবেশ করে। এই সংস্করনে যে প্রধান বিষয়াদি যুক্ত হয় তা হলো ফাংশনাল প্রোগ্রামিং টুলস lambda, map, filter ও reduce। CWI থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সংস্করন হচ্ছে পাইথন ১.২। ১৯৯৫ সালে ভ্যান গুইডো ভ্যান রোসাম ভার্জিনিয়ার কর্পোরেশন ফর ন্যাশনাল রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস (CNRI) প্রতিষ্ঠান থেকে পাইথনের ওপর তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন এবং এখান থেকে সফটওয়ারটির কয়েকটি সংস্করন বের করেন। ১.৪ সংস্করনের মধ্যে পাইথনের কিছু নতুন বৈশিষ্ঠ্য যোগ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মডুলা-৩ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে গ্রহণ করা নতুন ‘কিওয়ার্ড আর্গুমেন্ট’ (Keyword Argument) (যা কমন লিস্প এর কিওয়ার্ড আর্গুমেন্টের সাথে অনেকটা মেলে), এবং জটিল সংখ্যার জন্য অভ্যন্তরীন সমর্থন। পাইথন ২.০ তে গারবেজ কালেকশন ব্যবস্থা যুক্ত হয়েছে যা নিয়মিত ভাবে মেমরি পরিষ্কার করতে সক্ষম।

 

১১. সি শার্পঃ (C#):

সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন এই নতুন প্রোগ্রামিং ভাষার উদ্ভাবন করে। এটি প্রথম বাজারজাত হয় ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে। এর চীফ আর্কিটেকচার ছিলেন অ্যানডার্স হেজলসবার্গ (Anders Hejlsberg) যিনি একজন বিখ্যাত প্রোগ্রামিং বিশারদ। সি শার্প প্রায় জাভার মত একটি ভাষা হলেও পুরোপুরি একরকম নয়। ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, বিশেষত সি শার্পের ২.০ ভার্সনে। ভাষাগতভাবে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো নিরাপত্তা (সি শার্পে অনিরাপদ প্রোগ্রামিং করা সম্ভব), কো-রুটিন (পাইথনের মত yield নির্দেশনা), এবং নামবিহীন ফাংশন। সি# প্রোগ্রমিং ল্যাঙ্গেয়েজটি সরাসরি সি, সি++ এবং জাভার সাথে সম্পর্কীত। এজন্য সি# এর দাদা বা পিতামহ বলা হয় সি কে।

 

আজ এই পর্যন্তই। সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কোনো ভুল থাকলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।

Auto Shutdown Manager for PC


     আজ আমি আপনাদের দিচ্ছি আমার তৈরি একটা ছোট্টো সফটওয়্যার। আমি এখন মাত্র নবম শ্রেনিতে পড়ি, এখনও খুব ভালো প্রোগ্রামিং জানি না। আমার জ্ঞানের সীমানা থেকেই এই ছোট্টো সফটওয়্যার টা বানালাম। তাই অবশ্যই একবার ব্যবহার করে দেখবেন। কারন আপনারা উৎসাহ দিলেই আমি ভবিষ্যতে একজন বড় প্রোগ্রামার হতে পারব।


     এটা একটা শাট-ডাউন টাইমার। আপনি একটি টাইম সেট করে দিলে সেই নির্দিষ্ট সময় পর আপনার পিসি অটো বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সময় রাতে পিসি তে বড় কোনো কাজ দিয়ে বসে থাকতে হয়। কাজ শেষ হলে পিসি বন্ধ করতে হবে, সেই চিন্তায় ঘুমাতেও পারেন না। এমন সমস্যা যাদের হয়, তাদের জন্য আমার এই সফটওয়্যার টা খুব উপকারী হবে।


     দয়া করে একবার ট্রাই করে দেখবেন এবং কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করবেন।

নিচে ডাউনলোড লিংক দেয়া হলঃ সাইজ = 1.2MB